এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর যে অবতারে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তার উল্টোটা দেখা গেল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন। টিম হোটেলের বাইরে সবুজে ঘেরা লনে এতদিন ধরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। তবে বৃষ্টির বাধায় আজ সংবাদ সম্মেলন হয়েছে হোটেলের লবিতেই।
আজ বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর সাকিব শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন আক্রমণাত্মক। প্রশ্ন নিজের মন মতো না হলেই করেছেন পাল্টা প্রশ্ন। বারবার সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করেছেন কি বোঝাতে চাচ্ছেন। যে গুলোর উত্তর দিয়েছেন সেগুলোও একটু বাঁকা পথে। অথচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে নিজে যেচে গিয়ে একের পর এক প্রশ্ন নিয়েছেন, দিয়েছেন খোলামেলা উত্তর।
আজ তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এশিয়া কাপ ভালো যায়নি বিশ্বকাপে দলের প্রতি, তরুণদের প্রতি কি বার্তা থাকবে? সাকিবের উত্তর ছিল সোজা, ‘একটা জিনিস হচ্ছে সব দায়িত্বই এখানে আমার না। সবার সব দায়িত্ব আছে।’ উত্তরের শুরুটা অধিনায়ক সুলভ না হলেও পরে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছেন, ‘আমি নিশ্চিত সবাই যার যার জায়গা থেকে কাজ করবে। আলাদা আলাদাভাবে যদি সবাই এভাবে কাজগুলো করতে পারে, তাহলে আমাদের ভালো করার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আলাদা কাজগুলো একসঙ্গে যোগ করতে পারলে, তখন হয়তো আমরা ভালো করবো। সবাই চেষ্টা করবে আমি জানি। কেউ কারো জায়গা থেকে একটুও কম কাজ করবে না, যাতে যে বিশ্বকাপ ভালো করতে না পারে। আমি আশাবাদী আমাদের দল ভালো করবে।’ এর আগে শুরুতে ভারত ম্যাচ নিয়ে, উইকেট প্রসঙ্গে এবং নিউ জিল্যান্ড সিরিজে থাকবেন কি-না এমন প্রশ্নে সাকিবের উত্তর ছিল আক্রমণাত্মক।
যেমন জিতবেন কি-না, এমন প্রসঙ্গে প্রশ্নে সাকিবের উত্তর ছিল, ‘আপনি নামলে কি করতেন নামার আগে? আমরাও সেটাই করবো।’ ভারত কঠিন না সহজ প্রতিপক্ষ? এমন সরল প্রশ্নেও সাকিবের উত্তর ছিল শ্রুতিকটু, ‘এটা তো খেলার পরে বলতে পারবো। খেলার আগে কিভাবে বলবো সহজ হবে না কঠিন হবে। আমরা যাবো যতটা সম্ভব ভালো খেলা যায় জেতার জন্য, বাকিটা আসলে খেলার পরে আপনারাই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।’
এশিয়া কাপে দলের পারফরম্যান্স ছিল বাজে। স্বাভাবিকভাবে দলের পরিবেশ ভালো না। অধিনায়কেরও হয়তো তাই হতে পারে। কিন্তু পরিস্থিতি সেটা বলছে না। সংবাদ সম্মেলনের পরই সাকিবকে দেখা গেছে অন্য মেজাজে। স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ ও আরও দুই অতিথিসহ লবিতে বসে মেতেছিলেন আড্ডায়। মিনিট দশেক পরেই চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এসে যোগ করেন অন্য মাত্রা।